প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়। মাত্র ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়: সূপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা কে চায় না পুতুলের মতো লম্বা চুল, ফর্সা গায়ের রঙ আর উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারিণী হতে! বন্ধুরা ধরুন কেমিক্যাল প্রোডাক্টগুলো কথাই! আমরা জানি এগুলো আমাদের কোমল ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। সবকিছু জেনেও সুন্দর দেখানোর জন্য আমরা অনেক সময় কেমিক্যালের আশ্রয় নেই। তাই আজ আমি সেই সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে নিরাপদে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কিছু টিপস আপনাদের জানাবো। এগুলো ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবেই ফর্সা। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

আরো পড়ুন: এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল করার উপায়

প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হ‌ওয়ার উপাদান সমূহঃ

  1. বন্ধুরা প্রথমে ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর পরিষ্কার করতে হবে। এই প্যাকটি মুখে শাইন আনবে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।
  2. বন্ধুরা. বেসন, দুধ ২ চা চামচ এবং লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে, গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন । সপ্তাহে ২ বার এটা লাগান আপনাদের গায়ের রঙ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে।
  3. বন্ধুরা আমরা সবাই কমলা খেয়ে খোসাটা ফেলে দেই। অথচ এই ফেলনা জিনিসটাই আপনাদেরকে পৌছে দিবে আপনাদের স্বপ্নের অনেক কাছাকাছি। কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর মিহি করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপর ১ টেবিল চামচ গুঁড়োর সাথে ১ টেবিল চামচ টক দইয়ের পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

  1. ঝকঝকে ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। চন্দন গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেক দিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। অল্প দিনের মধ্যে আপনাদের মুখে হাসি ফুটবেই।
  2. আপনাদের যদি টমেটোতে অ্যালার্জি না থেকে থাকে তাহলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে টমেটো পিউরি মিশিয়ে মুখে এবং গলায় ভালো করে ব্যবহার করতে পারেন ফর্সা ত্বকের জন্য এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  3. আধা কাপ চায়ের লিকার (ঠাণ্ডা), ২ চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। চালের গুঁড়ো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করবে আর মধু মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
  4. শশার রস আর মধু সমপরিমাণ নিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে নিলে এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকার করে। তৈলাক্ত ত্বকে মধুর বদলে লেবু ব্যবহার করতে হবে।

প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হ‌ওয়ার উপাদান

ফর্সা হওয়ার উপায়

  1. বন্ধুরা সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষেই পালিয়ে যাবে আর আপনারা হয়ে উঠবেন আরো আকর্ষণীয়।
  2. ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ, ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর ১ চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলতে পারেন। মুখে ৫ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন এই প্যাকটি। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে মনে রাখবেন হলুদ কিন্তু সবার ত্বকের জন্য নয়। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনাদের বন্ধু না শত্রু।
  3. কাঁচা আলুর রস অথবা আলু পাতলা করে কেটে অথবা আলুর পাল্প দিনে ২ বার করে ব্যবহার করলেও আপনারা ভালো ফল পাবেন।

১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়

১) আপনি সকলে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস উষ্ণ পানি খাবেন খালি পেটে। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এক গ্লাস উষ্ণ পানি কেবল ত্বক নয় আপনার বাকি দেহকেও সতেজ করে তুলবে। এবং আপনার পরবর্তী রূপচর্চার জন্য ত্বককে প্রস্তুত করবে।

২) মুখে ভাত নিন। একটি হাড়িতে গরম পানি নিয়ে সেই বাষ্প মুখে লাগান কয়েক মিনিট। খুব বেশি কাছ থেকে বাষ্প লাগাবেন না। খুব বেশি উত্তাপ ও যেন না লাগে। মুখে ভাব দেয়া হলে পরিষ্কার তুলো দিয়ে মুখ মুছে নিন।

৩) এবার আসে ফেস মাস্কের পালা। একটি টমেটো নিন। মাঝখান থেকে কেটে দু’ভাগ করুন ভেতরের পাল্প সবটুকু বের করে নিন। এর সাথে দিন আধা চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ ও সামান্য মধু। সম্ভব হলে এক টেবিল চামচ শসার রসও দিন। লেবু ও টমেটো ন্যাচারাল বীজ হিসাবে কাজ করবে, দুধ জোগাবে মায়েশ্চার, মধু দূর করবে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ আর শশা কমাবে অতিরিক্ত তেল।

১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়

৪) আপনার ত্বকের রং ফর্সা করতে রোজ সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খাওয়ার অভ্যাস করুন। সপ্তাহখানেক যেতে দেখবেন আপনার ত্বকের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মাত্র ১ মাসে ফর্সা

ভিউয়ার্স আশা করছি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় ও টিপস গুলো আপনাদের কাজে লাগবে। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন উপাদানগুলোর সাথে আপনার ত্বক মানিয়ে নিতে পারে কিনা। আপনার বন্ধু বা আত্মীয় এক উপাদান দিয়ে উপকার পায় বলে আপনিও পাবেন এমন কোন কথা নেই। সেজন্য আমি বিভিন্ন উপাদানের প্যাকের রেসিপি দিয়েছি। সব সময় আগে অল্প করে হাতে লাগিয়ে দেখবেন কোন ধরনের চুলকানি কিংবা জায়গাটা লাল হয়ে যাচ্ছে কিনা। তারপর আপনার পছন্দের প্যাকটি বেছে নিন।

শেষ কথা, বন্ধুরা প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় তো জানলেন। এখন কথা হচ্ছে প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য যে উপাদানগুলোর কথা আপনাদের কি বললাম অনেক সময় এ সকল উপাদান সংগ্রহ করে তা দিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করা অনেকের জন্য কঠিন বা সময়সাপেক্ষ হয়ে যায়। তাই তাদের জন্য সাকসেস বিডি নিয়ে এসেছে কিছু অথেন্টিক প্রডাক্টস যেগুলো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া আপনার প্রয়োজনীয় কোন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। আমাদের ওয়েবসাইটটি খুব সহজেই খুঁজে পেতে আপনার ডিভাইসে বুক মার্ক করে রাখতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *