ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে: সুপ্রিয় ভিজিটর বন্ধুরা আপনারা সকলে জানেন বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো মিমস (memes) ও প্যারোডি। যেকোনো বিষয় বেশ সহজভাবে তুলে ধরতে আপনাদের বেশ কাজে আসতে পারে মিমস। বন্ধুদের সাথে মজা করা হোক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ফানি ভিডিও তৈরী করা হোক না কেন, সকল ক্ষেত্রেই অ্যাপ এর প্রয়োজন হয়। বন্ধুরা আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন ফানি ভিডিও তৈরী করার মজার অ্যাপস সম্পর্কে ।
এজন্য আমরা আমাদের আজকের এই নিবন্ধে ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাত্রীদের সুবিধার্থে সাকসেস বিডি ডট নেট সবার আগে যে কোন ভ্রমণ বিষয়ক ও তথ্য প্রকাশ করতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। আপনারা ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে সম্পূর্ণ তথ্য আমাদের এই নিবন্ধে আশা করি পেয়ে যাবেন। ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে নিচে তুলে ধরা হলো।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ব্র্যান্ড একাউন্ট কি? সুবিধা ও তৈরির নিয়ম জেনে নিন
ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে
বন্ধুরা Madlipz অ্যাপটির ইউনিক কিছু আইডিয়ার কারণে মিম ক্রিয়েটরদের মধ্যে নতুন একটি কমিউনিটি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। মুলত এটি মিমস ও প্যারোডি এর একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
অ্যাপটির মূল ফিচার হচ্ছে ডাবিং ও পপুলার ভিডিও কনটেন্টে লিপ সিন্কিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই অ্যাপটির বিশাল ভিডিও স্নিপেট লাইব্রেরী থেকে কনটেন্ট বেছে নিয়ে নিজের মত করে ভিডিও তৈরী করা যায়। আপনাদের পছন্দের ভিডিও সিলেক্ট করার পর উক্ত সিনে নিজের ভয়েস ও এড করতে পারেন।
ম্যাডলিপজ (MadLipz)
বন্ধুরা Madlipz অ্যাপ এর লিপ-সিন্কিং ফিচারটি কিন্তু অসাধারণ। প্রতিটি শব্দ ভিডিওর সাথে মিলানো যায় এই অ্যাপটির মাধ্যমে যাতে ভিডিওর সাথে আপনাদের ডায়লগ মিলে। মিস্টার বিন থেকে শুরু করে লায়ন কিং পর্যন্ত অসংখ্য কনটেন্টে লিপ-সিংক করা যায় এই অ্যাপটির মাধ্যমে।
Wombo হলো একটি এআই-পাওয়ারড পিকচার-মর্ফিং ও লিপ-সি্কিং টুল। এই ফিচারটি ব্যবহার করা বেশ সহজ। আপনারা একটি সেল্ফি নিয়ে উক্ত সেল্ফির মাধ্যমে অসংখ্য ছবিতে সেল্ফিতে থাকা ফেস ব্যবহার করা করতে পারবেন, এছাড়াও রয়েছে অনেক জনপ্রিয় গান যেগুলোর সাথে অটো লিপ-সিন্ক ও করা যায়। অর্থাৎ অ্যাপটিতে সেল্ফি নেওয়ার পর আপনাদের কাজ হলো শুধুমাত্র পছন্দমত গান সিলেক্ট করা, এরপর উক্ত গানের সাথে মিলিয়ে আপনাদের তোলা ছবি অটোমেটিক ভিডিওতে পরিণত হবে। অর্থাৎ এই অ্যাপে আপনারা মুখ কোনো সেলিব্রিটির ফেসে বসানো হচ্ছেনা, বরং আপনাদের প্রদত্ত ছবিকেই এনিমেট করা হবে। যেকোনো ছবিকে লাইব্রেরিতে থাকা গানের মাধ্যমে এনিমেট করা যায় এই অ্যাপের মাধ্যমে।
ফেসঅ্যাপ (FaceApp)
FaceApp অ্যাপটির সাথে ইতিমধ্যে আপনারাপরিচিত হয়ে থাকবেন অনেকেই। এই অ্যাপটি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিশেষ করে অ্যাপটি ব্যবহার করতে জানলে মিমস ক্রিয়েটরদের জন্য অ্যাপটি সোনার খনি হতে পারে।
বন্ধুরা ফেসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় ব্যবহারকারীদের বয়স্ক ফেস দেখার ফিচারের মাধ্যমে। তবে অ্যাপটির ফিচার এখানেই শেষ নয়। আপনারা চাইলে একটি ছবি প্রদান করে উক্ত ছবিতে থাকা ব্যক্তিকে বাচ্চা, বয়স্ক ইত্যাদিতে তৈরী করতে পারবেন। অর্থাৎ অ্যাপটি ব্যবহার করে অসংখ্য ধরনের মজার এডিটিং করার ও সুবিধা রয়েছে।
ফেসঅ্যাপ এর সবচেয়ে সেরা বিষয় হলো এটি অসাধারণভাবে অ্যাকুরেট। অর্থাৎ অন্য অ্যাপের মত ফেসঅ্যাপ র্যান্ডমলি ছবিগুলো জেনারেট করেনা, বরং এআই ব্যবহার করে বাস্তবিক ছবি তৈরী করে অ্যাপটি । যার কারণে এটি থেকে প্রাপ্ত রেজাল্ট বেশ অসাধারণ হয়ে থাকে।
বন্ধুরা ছবির পাশাপাশি ভিডিওতে বিভিন্ন ম্যানিপুলেশন ফিচার এর সুবিধা প্রদান করছে ফেসঅ্যাপ। যেমনঃ আপনাদের বন্ধুকে গোফ লাগিয়ে দিতে পারেন, ইত্যাদি। অ্যাপটি থেকে প্রাপ্ত রেজাল্ট ভিডিও এডিটর দ্বারা এডিট করে বেশ মজার সব ভিডিও বানানো যায়।
রিফেস(Reface)
ভিজিটর বন্ধুরা Reface অ্যাপটিকে অল-ইন-ওয়ান মিম-মেকিং টুল বলা হয়। এই অ্যাপটি মূলত ফেস সোয়াপ ফিচার এর জন্য জনপ্রিয় হলেও এটি ব্যবহার করে অসাধারণ মিমস তৈরী করতে পারে। Madlipz অ্যাপের মত এই অ্যাপটিতে জনপ্রিয় ভিডিও সিনে ভয়েস এড করা যায়।
এই Reface অ্যাপের “Animate Face” ফিচার এর মাধ্যমে সাধারণ সেল্ফিকে এনিমেট করে। আবার আপনাদের ছবি থেকে যেকোনো মুখ জনপ্রিয় ভিডিওতেও বসাতে পারবেন। এছাড়া আপনাদের গ্যালারিতে থাকা ভিডিওতেও ফেস সোয়াপ করতে পারবেন আপনাদের নিজের ইচ্ছামত। অর্থাৎ মিমস তৈরীর অসংখ্য সম্ভাবনা প্রদান করে রিফেস অ্যাপটি।