মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায়-সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। বন্ধুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই বেঁচে ফিরেন। কিন্তু এই ফিরে আসার যাত্রায় তাদের হারিয়ে আসতে হয়েছে অনেক কিছুই। যেমন শারীরিক, মানসিক, আর্থিকসহ অনেক ক্ষতিই করেছে কিছু মরণঘাতি রোগ। বিশেষ করে রোগ সেরে যাওয়ার পরও মানসিক বিভিন্ন অস্থিরতা যেন থেকেই যাচ্ছে। নতুন করে চাপ, উদ্বেগ ও মানসিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অনেক ভুক্তভোগী বন্ধুরা।
পাঠক বন্ধুরা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মরনঘাতি থেকে সেরে ওঠার পর মানসিক অস্থিরতার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলে। তবে এটি ভীতিকর নয়। অনেকের মধ্যেই সুস্থ হওয়ার পরবর্তী জীবন নিয়ে চাপা উদ্বেগ থাকে, আবার সংক্রমিত হওয়ার ভয় চেপে বসতে পারে। যারা দীর্ঘদিন অসুস্থতায় বাড়িতে কাটিয়েছেন, তাদের মানসিক অবস্থাও খুবই নাজুক। তবে যেকোনো চাপ সামলাতে গেলে সবার আগে নিজেকে শান্ত রাখা একান্ত প্রয়োজন। মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তির উপায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
আরো পড়ুন: মানসিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
অনুভূতির মুখোমুখি হওয়াঃ
বন্ধুরা আপনারা কেমন অনুভব করছেন তা সবার সামনে বলতে হবে। নিজের মনের কথাগুলো তুলে ধরতে হবে। যেসব কথা চিন্তায় আসছে সেগুলো লিখে রাখতে হবে। এতে পরে নিজেকে সামলে নেওয়া অনেক সহজ হবে। নেতিবাচক বিভিন্ন ভাবনা এসময় মাথায় এসে জড় হবে, সেগুলোকে একদমই পাত্তা দেওয়া চলবে না। কোন আচরণগুলো আপনাদেরকে শান্ত ও সুন্দর রাখবে, তা চিন্তা করতে হবে। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় সতর্ক থাকতে হবে। এমন ব্যবহার করবেন না, যার জন্য পরবর্তীতে অনুশোচনা করতে হয়।
ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করাঃ
বন্ধুরা ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভেবে নিজেকে অসুস্থ করে ফেলবেন না। কারণ ভবিষ্যতের কথা কে-ই বা বলতে পারে! সামনে অনেককিছুই হতে পারে, না-ও হতে পারে। আমরা যেটি পারি সেটি হলো চেষ্টা। নিজেকে ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে। কোনোকিছু নিয়েই অতিরিক্ত প্রত্যাশা করে থাকবেন না। জীবনে অনিশ্চয়তা থাকবেই, তাই নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনার কিছু নেই।
নিজেকে ভালো রাখাঃ
পাঠক বন্ধুরা নিজেকে শান্ত রাখতে ধর্মীয় প্রার্থনায় মন দিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। মন ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। জগিং, স্কিপিং, স্পোর্ট এগুলোও কার্যকরী হতে পারে। শরীর ব্যাথা, ডিপ্রেশন সবকিছুই কমাতে কাজ করবে এগুলো।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ
আপনাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে আপনারা যেসব খাবার খাচ্ছেন, সেগুলোর। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সব ধরনের জাঙ্ক ফুড ও ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে। টক জাতীয় ফল খেতে হবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্রাম নেওয়াঃ
বন্ধুরা আপনারা কাজ করবেন ভালো কথা তবে নজর দিতে হবে বিশ্রামের দিকেও। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন। মানসিক অস্থিরতার কারণে ঘুম না এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ ঘুম ও বিশ্রাম পর্যাপ্ত না হলে আপনাদের অসুস্থতার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
রোদে থাকাঃ
আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য অন্যতম প্রয়োজন হলো ভিটামিন ডি। এর সবচেয়ে বড় উৎস হলো সূর্যের আলো। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট রোদে থাকতে হবে। এতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবেন। ফলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা কমে আসবে অনেকটাই।
ইতিবাচক থাকাঃ
যা-ই ঘটুক না কেন, ইতিবাচকতা ধরে রাখা। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে, সম্পর্ক ধরে রাখতে হবে। ফোন করা, কথা বলা, আড্ডা দিন। কখনোই যোগাযোগ বন্ধ করবেন না। আপনজনের সঙ্গে কথা বললে মানসিক চাপ অনেকটাই কমবে।
শেষ কথা: আশা করি উপরের নির্দেশাবলী গুলি অনুসরণ করলে আপনারা আপনাদের সমস্যা দূর করতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত আমাদের এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। এছাড়া আপনাদের যদি আরো কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের সঠিক তথ্যাবলী উপস্থাপন করার। এছাড়া খুব সহজে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি খুঁজে পেতে আপনার কম্পিউটার এ বুকমার্ক করে রাখতে পারেন।