মুখে ক্রিম মাখার সঠিক পদ্ধতি: সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেক দিন ধরে মুখে কোনও সুন্দর ক্রিম ব্যবহার করে আসছেন। আপনাদের মুখের ছোপ ছোপ ভাব, চোখের তলায় ডার্ক সার্কেল ইত্যাদি কমানোর জন্য আপনারা অনেক দিন ধরে ওই ক্রিম ব্যবহার করছেন। কিন্তু এখন দেখছেন তাতেও কোনও ফলই হচ্ছে না।
প্রতিদিন অনেকেই মুখে ক্রিম মাখার পদ্ধতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে অনুসন্ধান করেন অনলাইনে। মূলত সেই সব ব্যক্তিদের সহযোগিতার ইচ্ছা নিয়ে আমি এই আলোচনাটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এটি একটি অনুসন্ধানকৃত তথ্য যা আপনাদের সহযোগিতা করবে। তাইতো আমি সম্পূর্ণ আলোচনার সাথে থেকে ক্রিম মাখার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কিত। বিষয় সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এই আর্টিকেল থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তাহলে চলুন বন্ধুরা জেনে নেয়া যাক আজকের আলোচনার মূল বিষয় মুখে ক্রিম মাখার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে।
আরও পড়ুন: নববধূকে সাজানোর জন্য ১০টি স্পেশাল মেকআপ টিপস
মুখে ক্রিম মাখার সঠিক পদ্ধতি
আপনারা তখন ওই ক্রিমটাকে ভেবে বসলেন অকেজো। তবে ক্রিম অকেজো বা খারাপ হতেই পারে। কিন্তু এর পাশাপাশি এটাও ভেবে দেখার যে আপনারা ক্রিমটা ঠিক পদ্ধতি মেনে মুখে মেখেছিলেন তো? সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম:
কী বন্ধুরা, অবাক হচ্ছেন? ঠিক ভাবে মুখে ক্রিম লাগানো আবার কী জিনিস! এটাই ভাবছেন তো? আসলে বন্ধুরা আমাদের মনেই হয় না যে আমরা যেভাবে কোনও ক্রিম বা প্যাক মুখে ব্যবহার করি সেই ব্যবহার করার বা মুখে মাখার পদ্ধতিতে ভুল থাকতে পারে। কিন্তু বন্ধুরা ৮০ শতাংশ মেয়েরাই ভুল নিয়মে ক্রিম মাখেন। ফলে ফলও তারা পান না। তাই আজ আপনাদের ক্রিম মাখা নিয়ে সমস্ত ভুল ধারণার সমাপ্তি হতে চলেছে এই পোস্টের মাধ্যমে।
১. আগে ডালো করে মুখ ধুয়ে নিনঃ
মুখ ধোয়ার পর মুখ হাল্কা করে মুছে নিতে হবে। এবার স্বাভাবিক ভাবেই আপনারা মুখ সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন আর তাহলেই আপনারা ভুল করছেন। মুখ শুকিয়ে গেলে স্কিন কঠিন হয়ে যাবে আর তার মধ্যে দিয়ে ক্রিম ঢুকতে পারবে না। স্কিন হাল্কা ভিজে থাকলে তার মধ্যে দিয়ে ক্রিম সহজে ঢুকে যায়। এতে ফল ভালো হয়। বন্ধুরা ময়েশ্চারই ক্রিম ধরে রাখে আর স্কিন ময়েশ্চার পায় ভিজে অবস্থায়। ক্রিম মাখার পর তাই স্কিন শুকিয়ে যেতে দিতে হবে।
২. অল্প ক্রিম ব্যবহারঃ
আপনাদের সারা মুখে মাখার জন্য যতটা ক্রিম লাগবে বলে হাতে নেন ততটা কিন্তু আরোও লাগে না । খুব সামান্য ক্রিম ভালো করে মাখলেই কাজ হয়ে যায়। ওটাই আপনাদের স্কিনে ভালো করে মিশে যায় আর তাতেই উপকার বেশি। অতিরিক্ত ক্রিম মেখে মুখ চটচটে করার থেকে তাই কম করে ক্রিম ব্যবহার করা অনেক ভালো।
৩. হাত নয়, আঙুল ব্যবহারঃ
বন্ধুরা আমরা অনেকেই হাতের চেটোয় ক্রিম নিয়ে তা হাতে মেখে তারপর মুখে ব্যবহার করে থাকি । এটা খুবই ভুল পদ্ধতি। আঙুলের ডগায় ক্রিম নিয়ে এক ফোঁটা করে সেটাকে গোল গোল করে সারা মুখে আগে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই আঙুলের সাহায্যেই ওই ক্রিম সারা মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। এতে ক্রিম কম লাগে আর ঠিক ভাবে মুখে ব্যবহার ও করা যায়। ভুল করে হাত দিয়ে জোরে জোরে মুখে ক্রিম মাখবেন না এতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
৪. অক্সিজেন সার্কুলেশনঃ
ক্রিম মাখার সময়ে মুখে অক্সিজেন সার্কুলেশন হওয়া কিন্তু খুব দরকার। তবেই আপনাদের ক্রিম উপযুক্ত ফল দেবে। সব সময়ে ক্রিম মাখার সময়ে ক্লক ওয়াইস নিচ থেকে উপরের দিকে ম্যাসাজ করবেন হাল্কা করে। এতে ওই অংশে রক্তের পরিবহণ বাড়ে আর রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেনেরও। আপনাদের স্কিনের কোষ অক্সিজেন পায় আর তার ফলে স্কিন হয় সুন্দর আর অনেক সতেজ।
বন্ধুরা আপনারা কী এতোগুলো নিয়ম মেনে পরপর এইভাবে ক্রিম মাখতেন ? আমার তো মনে হয়, না। তাহলে বন্ধুরা এবার থেকে একটু সময় নিয়ে ঠিক এই ভাবে আপনাদের মুখে ফেসিয়াল ক্রিম ব্যবহার করে দেখুন। কয়েক সপ্তাহেই আপনারা পার্থক্য বুঝতে পারবেন।