গ্রামীণফোন আনলিমিটেড ইন্টারনেট প্যাকগুলো সম্পর্কে যা জানা জরুরি

গ্রামীণফোন আনলিমিটেড ইন্টারনেট প্যাকগুলো সম্পর্কে যা জানা জরুরি

সুপ্রিয় ভিজিটর বন্ধুরা আপনারা কি জানেন গ্রাহক বন্ধুদের জন্য গ্রামীণফোন সম্প্রতি বেশ কিছু আনলিমিটেড ইন্টারনেট প্যাক ঘোষণা করেছে। এসব “আনলিমিটেড” মেয়াদ ও ভলিউমের প্যাকগুলোতে আসলে আনলিমিটেড বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, ইচ্ছামত ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে কিনা, আর সিমের মেয়াদ চলে গেলে কি আনলিমিটেড মেয়াদের ইন্টারনেটের কী হবে, ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো আমাদের দেশে এই পোস্টে।

গ্রামীণফোন আনলিমিটেড প্যাকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে প্যাকগুলো কিভাবে ও কত দামে কেনা যাবে সে সম্পর্কে প্রথমে জেনে নেওয়া যাক। ৫৪৯টাকা ও ১১৯৯টাকা মূল্যের যথাক্রমে ১৫জিবি ও ৪০জিবি আনলিমিটেড মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাক অফার করছে গ্রামীণফোন৷ বন্ধুরা এই প্যাক দুইটি কেনা যাবে মাই জিপি অ্যাপ এর মাধ্যমে।

আরো পড়ুন: কলরেট বাড়াচ্ছে গ্রামীণফোন, জেনে নিন নতুন কলরেট

গ্রামীণফোন আনলো ১০ বছর মেয়াদের দুটি ইন্টারনেট প্যাক

বন্ধুরা অন্যদিকে ২ঘন্টার জন্য ২৩টাকায় আনলিমিটেড ইন্টারনেট কিনতে আপনাদের *123*3309# ডায়াল করতে হবে এবং ৩৪টাকায় ৩ঘন্টার জন্য আনলিমিটেড ইন্টারনেট কিনতে *121*3312# ডায়াল করতে হবে। কোড ছাড়াও মাইজিপি অ্যাপ থেকে আনলিমিটেড ভলিউমের ইন্টারনেট প্যাকগুলো কেনা যায়।

বন্ধুরা এবার জেনে নেওয়া যাক গ্রামীণফোন এর আনলিমিটেড মেয়াদ ও ভলিউম এর প্যাকগুলো সম্পর্কে উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর।

আনলিমিটেড মেয়াদ কিন্তু সীমাহীন নয়, তবে যথেষ্টর চেয়ে বেশি!

বন্ধুরা সবকিছুর একটা শেষ রয়েছে, সেই বিষয়টি গ্রামীণফোনের করেআনলিমিটেড মেয়াদের প্যাকের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। বন্ধুরা ইতিমধ্যে গ্রামীণফোনের ১৫জিবি ও ৫০জিবি আনলিমিটেড মেয়াদের প্যাক দুইটি “মেয়াদহীন” নামে বিজ্ঞাপন করা হলেও আসলে এই প্যাক দুইটি কিন্তু মেয়াদহীন নয়। অর্থাৎ গ্রামীণফোন এর এই “মেয়াদহীন” প্যাক দুইটির নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। তবে সেই মেয়াদ এতই বেশি যে আনলিমিটেড নামকরণের সার্থকতা সেখানে পুরোপুরি স্পষ্ট!

পাঠক বন্ধুরা ১৫জিবি ও ৪০জিবি মেয়াদের গ্রামীণফোন ইন্টারনেট প্যাক এর মেয়াদ হলো ৩৮৪৪দিন। অর্থাৎ ৫৪৯টাকায় ১৫জিবি ও ১১৯৯টাকায় ৪০জিবি ইন্টারনেট এর মেয়াদ “আনলিমিটেড” বলা হলেও আসলে প্যাক দুইটির মেয়াদ ৩৮৪৪দিন যা ১০বছরের অধিক। তবে দাম হিসেবে ৩৮৪৪দিন মেয়াদ বিবেচনা করলে প্যাকগুলো অবশ্যই যথাযথ মনে হবে। এখানে প্যাকগুলোকে আনলিমিটেড বলাই যায়।

মেয়াদ গুরুত্বপূর্ণ নয়

বন্ধুরা এতোক্ষণ আমরা জানলাম যে গ্রামীণফোন মেয়াদহীন ইন্টারনেট প্যাকগুলোর আসলে মেয়াদ রয়েছে৷ মেয়াদহীন বলা হলেও এসব প্যাকের আসলে মেয়াদ রয়েছে, তবে এই মেয়াদ তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেননা ১৫জিবি বা ৪০জিবি ইন্টারনেট একটানা ৩৮৪৪দিন এর অধিক বা কাছাকাছি অব্যবহৃত থেকে যাবে এটি অবাস্তব বিষয়।

অর্থাৎ এই মেয়াদ নিয়ে আপনাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই, যেহেতু এমনিও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্যাকগুলো ব্যবহার সম্পন্ন করতে পারবেন। তাই ১৫জিবি ও ৪০জিবি প্যাকগুলোর মেয়াদ নিয়ে ভাবা ভিত্তিহীন।

আনলিমিটেড ইন্টারনেট কিন্তু অফুরন্ত নয়

সুপ্রিয় বন্ধুরা এসব অফার আনলিমিটেড হলেও ২ঘন্টা ও ৩ঘন্টার ইন্টারনেট প্যাক দুইটির কিন্তু নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে৷ অর্থাৎ আপনারা কি পরিমাণ ইন্টারনেট এসব প্যাকের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন সে সম্পর্কে একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

২ঘন্টার গ্রামীণফোন আনলিমিটেড ইন্টারনেট প্যাক এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮জিবি ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। অন্যদিকে ৩ঘন্টা আনলিমিটেড ইন্টারনেট প্যাক এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১২জিবি ইন্টারনেট ব্যবহারের সু্যোগ রয়েছে।

অর্থাৎ এখানে আনলিমিটেড ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অফুরন্ত ইন্টারনেট মনে করা হলেও গ্রামীণফোন এখানে অন্যান্য অপারেটরের মত পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। বন্ধুরা উল্লেখিত লিমিট এর বাইরে উল্লেখিত প্যাকগুলো ব্যবহারের পর সাধারণ নিয়মে পে-পার-গো চার্জ প্রযোজ্য হবে।

একাউন্ট একটিভ রাখা জরুরি

বন্ধুরা উল্লেখিত প্যাকগুলো, বিশেষ করে মেয়াদহীন ইন্টারনেট প্যাক এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্যাকের মেয়াদ থাকলেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবেনা। আপনারা আনলিমিটেড মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাক ব্যবহার করতে চাইলে সেক্ষেত্রে নিয়মিত রিচার্জ এর মাধ্যমে একাউন্ট একটিভ রাখতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে গ্রামীণফোন।

অর্থাৎ আপনাদের গ্রামীণফোন একাউন্ট ব্যালেন্সের মেয়াদ না থাকলে আনলিমিটেড মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাক ব্যবহার করতে পারবেন না। অর্থাৎ উল্লেখিত ১৫জিবি ও ৪০জিবি ইন্টারনেট প্যাক এর মেয়াদ এর পাশাপাশি একাউন্টের ব্যালেন্সের মেয়াদ থাকা জরুরি, তবেই উক্ত ইন্টারনেট প্যাকের নেট ব্যবহার করা যাবে। তার মানে দাঁড়ায় আনলিমিটেড মেয়াদ এর ইন্টারনেট প্যাক ব্যবহারে অবশ্যই গ্রামীণফোন একাউন্ট ব্যালেন্সের মেয়াদ থাকতে হবে। আপনারা ৩০০ টাকা রিচার্জ করলে ১ বছরের মেয়াদ পাবেন। সুতরাং এটা নিয়েও চিন্তার কোনো কারণ নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *