নববধূকে সাজানোর জন্য ১০টি স্পেশাল মেকআপ টিপস

নববধূকে সাজানোর জন্য ১০টি স্পেশাল মেকআপ টিপস

নববধূকে সাজানোর স্পেশাল টিপস: সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করে শুরু করছি আমাদের আজকের টিপস নববধূকে সুন্দর করে সাজানোর দশটি মেকআপ টিপস। মেয়ে মানুষ অর্থই যেন একটু গোছালো সাজগোজ আর বিয়ের বিষয়ে তো কোন কথাই নেই সাত ছাড়া যেন বিয়ে অসম্পূর্ণ। আমরা জানি ওই দিনটার গুরুত্ব আপনাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওইদিন সাজ নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে হবে এটাই স্বাভাবিক। যেন ওইদিন সাজটা হতে হবে জীবনের সব থেকে ভালো সাজ। যাতে সবার চোখ আটকে যায় নববধূকর দিকে। তাই আমরা আজ দিচ্ছি ফুল মেকআপ টিপস। কিভাবে পর পর স্টেপ অনুযায়ী করবে পারফেক্ট মেকআপ। তাহলে বন্ধুরা চলুন জেনে নেওয়া যাক নববধূকে সাজানোর স্পেশাল মেকআপ টিপস গুলো।

আরও পড়ুন: ভিটামিন এ এর উৎস, কাজ, অভাবজনিত রোগ ও উপকারিতা

মুখ পরিষ্কার

বন্ধুরা যে কোনো মেকআপ করার আগেই আমাদের মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া অবশ্যই দরকার। তাই এক্ষেত্রেও সেটা আমাদের করতে হবে। ফেসওয়াশ বা শুধু পানি দিয়েও আপনারা মুখ ধুয়ে নিতে পারেন।

বেস মেকআপ

মেকআপ এর জন্য বেস মেকআপ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বন্ধুরা মুখের বেস মেকআপটা যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে পুরো সাজটাই মাটি। কনের ন্যাচারাল যা স্কিন টোন তার থেকে ১বা ২শেড ওপরে হবে। এমন করে মেকআপ টি করতে হবে যেন মুখের সাথে গলা, ঘাড়, পিঠের খুব পার্থক্য না থাকে। অবশ্যই হাত পায়ের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। মুখের সঙ্গে শরীরের বাকি অংশগুলোর খুব বেশি পার্থক্য থাকলে, দেখতে ভালো লাগবে না। তাই হাত ও পিঠের স্কিন টোনের সাথে মানানসই এমন মেকআপ করতে হবে।

কন্সিলার

বন্ধুরা ফাউণ্ডেশন লাগানোর আগে কন্সিলার লাগিয়ে নিতে হবে। কন্সিলার মুখের অন্যান্য দাগ, চোখের তলায় কালি থাকলে সেটাকে ঢেকে দেবে। তাই ওইদিন অবশ্যই আপনাদের কন্সিলার লাগাতেই হবে। আর নিজের স্কিন টোনের থেকে ১বা২শেড হালকা কন্সিলার বেঁছে নিতে হবে।কন্সিলার দিয়ে চোখের তলার কালো ভাব, মুখের অন্যান্য দাগ ঢাকার পর, আপনাদের লাগাতে হবে প্রাইমার। প্রাইমার মেকআপকে অনেকক্ষণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আর কনের মুখের মেকআপকে অনেকক্ষণ ধরে রাখাও প্রয়োজন। তাই ফাউণ্ডেশন লাগানোর আগে অবশ্যই মেকআপ প্রাইমার লাগাতে হবে।

ফাউণ্ডেশন

কনসিলার এর পর হচ্ছে ফাউণ্ডেশন। ফাউণ্ডশনের সাথে অল্প একটু পানি মিশিয়ে পুরো মুখটাকে কভার করতে হবে। নাকটাকে সুন্দর দেখাবার জন্য একটু গাঢ় ফাউণ্ডেশন নাকের দুপাশে লম্বা করে লাগিয়ে নিতে হবে। যাদের নাক একটু বসা, তাদের নাকটা অনেক সুন্দর লাগবে এতে।

এছাড়াও গাল ও কপালে ভালো করে লাগাতে হবে। অবশ্যই মেকআপ স্পঞ্জ দিয়ে লাগাতে হবে।এতে মুখের সবদিকে ভালোভাবে মেকআপ টা ছড়িয়ে যাবে। স্পঞ্জের সাহায্যে ফাউণ্ডেশন লাগিয়ে নিয়ে, এরপর মেকআপ ব্রাশ দিয়ে আরও ভালো করে চারপাশে ফাউণ্ডেশন ছড়িয়ে দিন।

কমপ্যাক্ট

বন্ধুরা ফাউণ্ডেশনকে আরও পারফেক্ট ও গর্জিয়াস করে তোলার জন্য এরপর আপনাদের লাগাতে হবে কমপ্যাক্ট বা লুজ পাওডার। পাওডারকে ভালো করে ব্রাশের সাহায্যে পুরো মুখে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে ফাউণ্ডেশনও অনেকক্ষণ থাকবে, আর এটা ফাউণ্ডেশনকে সুন্দর ভাবে বসতে সাহায্য করে।

ব্লাশন

বন্ধুরা সর্বশেষের কাজ ব্লাশন। এটা অনেকটাস্কিন টোনের ওপর নির্ভর করে। স্কিন টোন যেমন সেই অনুযায়ী লাগাতে হবে। যেমন ফর্সা স্কিনের ক্ষেত্রে লাইট কোরাল, পীচ, হালকা পিঙ্ক এসব ভালো লাগবে। আবার মিডিয়াম স্কিন টোনের ক্ষেত্রে, ডিপ পীচ, রিচ পিঙ্ক, মভ কালার ভালো লাগবে। আর স্কিন টোন চাপা হলে, ফুসিয়া পিঙ্ক, ব্রাউন এসব কালার ভালো লাগবে।

আইব্রো

বন্ধুরা মুখের কাজ শেষ হ‌ওয়ার পর এবার চোখের পালা। কিন্তু চোখের মেকআপ শুরু করার আগে, অবশ্যই ভুরুকে হাইলাইট করতে হবে। ভ্রুকে সাজানোর জন্য আলাদা আইব্রো ব্রাশ পাওয়া যায়। সেটা দিয়ে একটু মোটা করলে অনেক ভালো লাগবে। ব্রাশ দিয়ে একটু কালো করে আইব্রো কভার করতে হবে।

আলাইনার ও মাস্কারা

এরপর আরেকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো আই মেকআপ। ওইদিন চোখকে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতেই হবে। বন্ধুরা মনে রাখবেন চোখ ছোট হলে লাইনার মোটা করে পরলে ভালো লাগবে। আর চোখ যদি হয় বড় তাহলে, আইলাইনার মোটা করে পরার দরকার নেই। মিডিয়াম বা সরু করে পরলেই হবে। ওপরের পাতায় লাইনার পরার পর নীচের পাতায় কাজল দিতে হবে। চোখের পাতা একটু বড় হলে ঘন করে মাস্কারা। না হলে চোখের পাতা কিনতে পাওয়া যায়। সেটা লাগালে আরও বেশি ভালো লাগবে। চোখের পাতা লাগিয়ে তার ওপর একটু মাস্কারা দিন।

আইশ্যাডো

মেকআপ প্রায় শেষের দিক এরপর আইশ্যাডোর পালা। ওইদিন কোন একটা রঙ নয়। দু-তিনটি রঙ ব্যবহার করে চোখকে হাইলাইট করলে ভালো দেখাবে। বিয়ের কনের ওপর তাই সোনালী, কপার বা সিলভার রঙ ভালো ব্রাইট করবে । চোখের কোণটাকে বেশি করে হাইলাইট করতে হবে।চোখের সামনের দিকে সোনালী বা সিলভার রঙ দিয়ে, শেষের কোণে একটু ডার্ক শেড দিয়ে হাইলাইট করলে অনেক ভালো লাগবে।

লিপ

কনের লিপস্টিক কিন্তু অবশ্যই লিপস্টিক স্কিন টোন ও শাড়ির রঙের সাথে ম্যাচ করে লাগাতে হবে। লিপস্টিক লাগানোর আগে, ঠোঁটে হালকা একটু ফাউণ্ডেশন লাগিয়ে নিতে হবে বা লিপ প্রাইমারও লাগানো যেতে পারে। এতে লিপস্টিক অনেকক্ষণ থাকবে। এবার লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁটে আর্ট করে নিতে হবে। তারপর লিপস্টিক লাগান। আর ঠোঁট খুব শুকিয়ে গেলে, ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠোঁটের মেকআপ শুরু করতে হবে।

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা কিন্তু এভাবে নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনাদের জীবনের বিশেষ দিনটিতে। এভাবে কিন্তু আপনাদের পার্লারের খরচাও বাঁচে যাচ্ছে, তাই না! আমাদের আজকের টিপস আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখে পাঠান, এতোক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *