বমি বন্ধ করার উপায়

বমি বন্ধ করার উপায়, বমির ওষুধ এবং গাড়িতে বমি হওয়ার কারণ

বমি বন্ধ করার উপায়-দুরবর্তী কোনো জায়গায় বেড়াতে ইচ্ছে করছে কিন্তু যেতে পারছেন না বমি করার জন্য। হ্যা বন্ধুরা আপনি একবারে ঠিক আর্টিকেল এ এসেছেন। কোথাও যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠে কিছু দুর যেতে না যেতেই শরীর গুলাতে শুরু করে ও বমি চলে আসে। এই সমস্যাকে মোসান সিকনেস বলে। অধিকাংশ মানুষের বাস, মাইক্রো,লঞ্চ ও স্টিমারে যাতায়াতের সময় বমি হয়। বমি বন্ধ করার উপায় নিচে আলোচনা করা হলো:

আরো পড়ুন: খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

বমি বন্ধ করার উপায়

১ গাড়ি চলন্ত অবস্থায় থাকলে গাড়ির ভিতরে তাকিয়ে থাকবেন না, যতসম্ভব জানালা দিয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখবেন যতদূর চোখ যায়। ২ জানালা সিটে বসার চেষ্টা করবেন, জানালা খুলে রাখবেন যাতে বাহিরের ঠান্ডা হওয়া গাড়ির ভিতরে ঢুকে এবং পরিবেশ ঠান্ডা রাখে। ৩ জানালার বাহিরে মাথা বের করে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ৪ , সব সময় গাড়ির সামনাসামনি হয়ে বুঝবেন উল্টোপাশে বসবেন না এতে বমি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। ৫ যাত্রা শুরু করার আগেই অতিরিক্ত পানি কিংবা পেট ভরে কিছু খাবেন না। ৬ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ঔষধ খেতে পারেন। এছাড়া আদা সিঙ্গাম খেলো অনেকটা উপকার পেতে পারেন। ৭ সব সময় পজিটিভ থাকবেন কখনো মনে আসতে দিবেন না যে গাড়িতে উঠলে আপনি বমি করবেন মন দুর্বল হয়ে গেলে বমি মাত্রা বেড়ে যায়।

গাড়িতে বমি হ‌ওয়ার কারণ

হচ্ছে যানবাহন যখন চলতে শুরু করে তখন অন্ত:কর্ণের তরল পদার্থ নড়াচড়া করে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় কিন্তু চলন্ত গাড়িতে ভিতরে নজর থাকলে মনে হয় আমরা স্থির রয়েছি। ফলে আপনার মস্তিষ্ক ও অন্ত:কর্ণর সংকেত এর অমিল দেখা যায় এজন্য মোসান সিকনেস শুরু হয়। তাই চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক বমি বন্ধ করার উপায় এবং বমির ওষুধ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

বমির ঔষধ

  • Ondasidon
  • Emerzin plus
  • Motigut 10mg
  • Emistat
  • Antracit

শিশু বাচ্চাদের জন্য

  • এভারডিন
  • ওনসেট
  • মোটিগাট
  • মেট্রোনিডাজল
  • ডমপেরিডন
  • এছাড়া এন্টাসিড ট্যাবলেট চুষে খেতে পারবে।

চিকিৎসা

বমি নিবারক ওষুধ যা বমি এবং বমি বমি ভাবের বিরুদ্ধে কার্যকর। ভ্রমণকালীন অসুস্থতা ও কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণে বমি নিবারক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বমির সাথে সংশ্লিষ্ট রিসেপ্টরকে দমন করে বমি নিবারক ওষুধ কাজ করে থাকে। অতএব, এন্টিকলিনার্জিক, হিস্টামিন নিবারক ওষুধ, ডোপামিন ও সেরোটনিন প্রতিদ্বন্দ্বী এবং গাঁজা বমি নিবারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

পরিশেষে, উপরের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারবেন গাড়িতে বমি হওয়ার কারণ, বমি বন্ধ করার উপায় এবং বমির ওষুধ সম্পর্কে। তবে উপরের এই কয়েকটি উপায় মেনে চললেই গাড়িতে বমি না হওয়ার কথা। তবুও বমি হওয়ার লক্ষণগুলো দেখলে সাথে সাথে বমির ওষুধ খেয়ে নিবেন। এছাড়াও আরো কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। “ধন্যবাদ”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *