রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা ফেসবুক স্ট্যাটাস ও শিক্ষামূলক বাণী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা ফেসবুক স্ট্যাটাস ও শিক্ষামূলক বাণী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিটি মানুষের কাছে একজন পরিচিত নাম। তিনি হচ্ছেন উপমহাদেশের প্রথম ব্যক্তি যিনি সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করে থাকেন। তিনি বিশ্বকবি বিশ্ব নন্দিত কবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসংখ্য কবিতা গান ছোট গল্প নাটক প্রবন্ধ রচনা করেছেন সেই সাথে তিনি প্রতিটি মানুষের জন্য রেখে গেছেন বেশ কিছু শিক্ষামূলক বাণী। আজকে আমাদের আলোচনায় আমরা আপনাদের মাঝে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই প্রেমের কবিতা ফেসবুক স্ট্যাটাস ও শিক্ষামূলক বাণী গুলো তুলে ধরব। যেগুলো আপনি আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রেমের কবিতা গুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও শিক্ষামূলক বাণী গুলো আপনার জীবনে অনুসরণ করতে পারবেন। আপনি আপনার বাস্তব জীবনে আজকের এই শিক্ষামূলক বাণী গুলোর মাধ্যমে বাস্তবতার শিক্ষা লাভ করতে পারবেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বকবি। তিনি ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ দত্ত এবং মাতার নাম সারদা সুন্দরী দেবী। তার পিতামহের নাম প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। ছোটবেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটগল্প কবিতা লিখতে পছন্দ করতেন। তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণ করেননি। তিনি তার জীবনে অসংখ্য গান ছোট গল্প নাটক কবিতা লিখে নিজের প্রতিভা সকলের মাঝে তুলে ধরেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমন একজন মানুষ যিনি উপমহাদেশের প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি সর্বপ্রথম ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তার এই সাফল্য তাকে বিশ্বকবি মর্যাদায় আসীন করতে সহায়তা করে থাকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান ছোট গল্প ছাড়াও প্রতিটি মানুষের জন্য বেশ কিছু উপদেশমূলক বাণী ও শিক্ষামূলক বাণী তার কবিতা লেখালেখির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যেগুলো প্রতিটি মানুষের বাস্তব জীবনে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন: গভীর রাতের কষ্টের স্ট্যাটাস উক্তি ও ক্যাপশন

/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসংখ্য প্রেমের কবিতা রচনা করেছেন। যেগুলোর মাধ্যমে একজন মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম নিবেদন করতে পারবে। অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই রোমান্টিক প্রেমের কবিতা গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে থাকে। আজকে তাদের জন্য আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়ে এসেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা সম্পর্কিত এই নিবন্ধটি। আমাদের এই নিবন্ধটিতে আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কিছু প্রেমের কবিতা তুলে ধরেছি। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা গুলো সংগ্রহ করে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের আজকের এই কবিতা গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। নিচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা গুলো তুলে ধরা হলো:

অনন্ত প্রেম
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
শত রূপে শত বার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
গাঁথিয়াছে গীতহার,
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,
প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে
দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া
তোমারি মুরতি এসে,
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি
যুগল প্রেমের স্রোতে
অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা
কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে,
মিলনমধুর লাজে—
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।
আজি সেই চিরদিবসের প্রেম
অবসান লভিয়াছে
রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ,
নিখিল প্রাণের প্রীতি,
একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে
সকল প্রেমের স্মৃতি—
সকল কালের সকল কবির গীতি।

অকর্মার বিভ্রাট
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
লাঙল কাঁদিয়া বলে ছাড়ি দিয়ে গলা,
তুই কোথা হতে এলি ওরে ভাই ফলা?
যেদিন আমার সাথে তোরে দিল জুড়ি
সেই দিন হতে মোর মাথা-খোঁড়াখুঁড়ি।
ফলা কহে, ভালো ভাই, আমি যাই খ’সে,
দেখি তুমি কী আরামে থাক ঘরে ব’সে।
ফলাখানা টুটে গেল, হল্খানা তাই
খুশি হয়ে পড়ে থাকে, কোনো কর্ম নাই।
চাষা বলে, এ আপদ আর কেন রাখা,
এরে আজ চালা করে ধরাইব আখা।
হল্ বলে, ওরে ফলা, আয় ভাই ধেয়ে–
খাটুনি যে ভালো ছিল জ্বলুনির চেয়ে।
১৪০০ সাল
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতুহলভরে,
আজি হতে শতবর্ষ পরে!
আজি নব বসন্তের প্রভাতের আনন্দের
লেশমাত্র ভাগ,
আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,
আজিকার কোনো রক্তরাগ-
অনুরাগে সিক্ত করি পারিব কি পাঠাইতে
তোমাদের করে,
আজি হতে শতবর্ষ পরে?
তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণদ্বার
বসি বাতায়নে
সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি
ভেবে দেখো মনে-
একদিন শতবর্ষ আগে
চঞ্চল পুলকরাশি কোন্ স্বর্গ হতে ভাসি
নিখিলের মর্মে আসি লাগে,
নবীন ফাল্গুনদিন সকল-বন্ধন-হীন
উন্মত্ত অধীর,
উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা
দক্ষিণসমীর
সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দেয়েছে ধরা
যৌবনের রাগে,
তোমাদের শতবর্ষ আগে।
সেদিন উতলা প্রাণে, হৃদয় মগন গানে,
কবি একা জাগে-
কত কথা পুষ্প প্রায় বিকশি তুলিতে চায়
কত অনুরাগে,
একদিন শতবর্ষ আগে।
আজি হতে শতবর্ষ পরে
এখন করিছে গান সে কোন্ নুতন কবি
তোমাদের ঘরে!
আজিকার বসন্তের আনন্দ-অভিবাদন
পাঠায়ে দিলাম তাঁর করে।
আমার বসন্তগান তোমার বসন্তদিনে
ধ্বনিত হউক ক্ষণতরে-
হৃদয়স্পন্দনে তব, ভ্রমরগুঞ্জনে নব,
পল্লবমর্মরে,
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
অভিমান
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কারে দিব দোষ বন্ধু, কারে দিব দোষ!
বৃথা কর আস্ফালন, বৃথা কর রোষ।
যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ,
কেহ কভু তাহাদের করে নি সম্মান।
যতই কাগজে কাঁদি, যত দিই গালি,
কালামুখে পড়ে তত কলঙ্কের কালি।
যে তোমারে অপমান করে অহর্নিশ
তারি কাছে তারি ‘পরে তোমার নালিশ!
নিজের বিচার যদি নাই নিজহাতে,
পদাঘাত খেয়ে যদি না পার ফিরাতে–
তবে ঘরে নতশিরে চুপ করে থাক্,
সাপ্তাহিকে দিগ্বিদিকে বাজাস নে ঢাক।
একদিকে অসি আর অবজ্ঞা অটল,
অন্য দিকে মসী আর শুধু অশ্রুজল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফেসবুক স্ট্যাটাস

অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন রকম উক্তি বাণী গুলো ফেসবুক স্ট্যাটাস হিসেবে ব্যবহার করার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন। তাদেরকে সহায়তা করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে আজকের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফেসবুক স্ট্যাটাস সম্পর্কে একটি নতুন পোস্ট উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনারা এই পোস্ট থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কিছু উক্তি বাণী সংগ্রহ করতে পারবেন। যেগুলো আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস কিংবা ক্যাপশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের আজকের এই পোস্টটি সংগ্রহ করে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূল্যবান উক্তি ও বাণী গুলো সম্পর্কে জানাতে পারবেন। নিচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফেসবুক স্ট্যাটাস সম্পর্কিত পোস্টটি তুলে ধরা হলো:

১. ধরা আমি দিতে চাইনি তোমার প্রেমে, তবুও এ যেন কোনো এক মায়ার কারসাজি!

২. আমি তোমার লেখা গল্পে ডুবে রই সরক্ষণ, তোমার লেখা গল্পে খুঁজে বেড়াই তোমাকে, তোমার লেখা গল্পে যেতে চাই হারিয়ে!

৩. আমার উপন্যাসই বোধয় তোমার আর আমার মিষ্টি প্রেমের সাক্ষী!

৪. পাখি উড়ে উপরের ঐ স্বাধীন আকাশের পানে, অস আমি উড়তে চাই তুমি নামের সেই মুক্তি স্বাধীন আকাশে পাখির মতো…

৫. ধরো যদি এমন হতো, আমি আর তুমি হয়ে যেতাম এক উপন্যাসের দুটি প্রেমের চরিত্র।

৬. এই জীবনে আমরা সবাই কোনো এক পবিত্র প্রেমের খোঁজে মাতাল হয়ে থাকি, ডুবে যেতে চাই প্রেম নামক গভীর সমুদ্রে।

৭. গৌধুলির পানে যখন উপন্যাসের এক একটা লাইন লিখি তখন মনে হয় পাশেই যেন বসে তুমি..

৮. চেষ্টা তো হলো অনেক, এবার বোধয় প্রেমের হাতে দিতেই হবে ধরা!

৯. তোমার জন্য অপেক্ষায় বসে সময় যায়, তবে যাক না.. প্রেম আসবে জেনে ধরা দিতে আছি যে বসে সারাক্ষণ!

১০. এই ভুবনে আমার কাছে প্রেম বলতে কেবল তুমিই!

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষামূলক বাণী

পৃথিবীর ইতিহাসে প্রতিটি স্মরণীয় ব্যক্তি মত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানুষদের বাস্তব জীবনের কথা বিবেচনা করে তার লেখালেখিতে বেশ কিছু শিক্ষামূলক বাণী প্রকাশ করেছেন। যেগুলোর মাধ্যমে একজন মানুষ তার বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষা পেয়ে থাকে। অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই শিক্ষামূলক বাণী গুলো অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খুজে থাকে। তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে আজকের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কিছু শিক্ষামূলক বাণী তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষামূলক বাণীগুলো সংগ্রহ করে আপনি আপনার বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন। নিচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষামূলক বাণী গুলো উপস্থাপন করা হলো:

“সময়ের সমুদ্রে আছি কিন্তু এক মুহুর্তে সময় নেই।”

“মানুষ পণ করে পণ ভাঙিয়া ফেলিয়া হাঁফ ছাড়িবার জন্য।”

“অন্য ক্ষমতা যখন কম থাকে তখন খোঁচা দিবার ক্ষমতাটা খুব তীক্ষ্ম হইয়া উঠে।”

“মানুষের প্রাণে বিষ মিশায়েছে মানুষ আপন হাতে, ঘটেছে তা বারে বারে।”

“কাহারও হাসি ছুরির মতো কাটে, কাহারও হাসি অশ্রুজলের মতো।”

“সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।”

“পাপকে ঠেকাবার জন্য কিছু না করাই তো পাপ।”

“রমণীর মন সহস্রবর্ষেরই, সখা, সাধনার ধন।”

“দীর্ঘ আয়ু দীর্ঘ অভিশাপ বিচ্ছেদের তাপ নাশে সেই বড়ো তাপ।”

“অপরিচয় হইতে পরিচয়ের পথ অতি দীর্ঘ।”

“তোমার পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শকতি।”

“যথার্থ অধিকার থেকে মানুষ নিজের দোষে ভ্রষ্ট হয়।”

“নিজের অজ্ঞতা সম্বন্ধে অজ্ঞানতার মতো অজ্ঞান আর তো কিছু নাই।”

“ভালোবাসা কথাটা বিবাহ কথার চেয়ে আরো বেশি জ্যান্ত।”

“লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই।”

“লোকের যখন ধর্মজ্ঞান সহসা বিশেষ প্রবল হইয়া উঠে, তখন কোন যুক্তিই তাহার কাছে খাটে না।”

“যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে।”

“অক্ষমের লোভ আলাদিনের প্রদিপের গুজব শুনলেই লাফিয়া উঠে।”

“ভয়ের তাড়া খেলেই ধর্মের মূঢ়তার পিছনে মানুষ লুকাতে চেষ্টা করে।”

“ফ্যাশানটা হল মুখোশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী।”

“শিমুল কাঠই হোক আর বকুল কাঠই হোক, আগুনের চেহারাটা একই।”

“কেউ বা মরে কথা বলে, আবার কেউ বা মরে কথা না বলে।”

“যা সত্য তার জিওগ্রাফি নাই।”

“মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।”

“কাব্যরস আস্বাদনে পাঠকদের অত্যন্ত বেশি যত্নে পথ দেখিয়ে চলা স্বাস্থ্যকর নহে। নিজে নিজে সন্ধান করা ও আবিষ্কার করা সত্যকার আনন্দ।”

“অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেস তৃণসম দহে।”

“প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।”

”সংগীত আর কিছু নয় – সর্বোৎকৃষ্ট উপায়ে কবিতা পাঠ করা।”

“চোখ কতটুকুই দেখে কান কতটুকুই শোনো স্পর্শ কতটুকুই বোধ করে। কিন্তু মন এই আপন ক্ষুদ্রতাকে কেবলই ছড়িয়ে যাচ্ছে।”

“কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি। তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি।”

“যখন দেশকে মা বলে আমরা গলা ছেড়ে ডাকি তখন মুখে যাই বলি মনে মনে জানি, সে মা গুটিকয়েক আদুরে ছেলের মা।”

“অহংটাই পৃথিবীর মধ্যে সকলের চেয়ে বড়ো চোর। সে স্বয়ং ভগবানের সামগ্রীও নিজের বলিয়া দাবি করিতে কুণ্ঠিত হয় না।”

“ছোট ছোট মুখ জানে না ধরার দুখ, হেসে আসে তোমাদের দ্বারে। নবীণ নয়ন তুলি কৌতুকেতে দুলি দুলি চেয়ে চেয়ে দেখে চারিধারে।”

“যায় যদি লুপ্ত হয়ে থাকে শুধু থাক এক বিন্দু নয়নের জল কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল এ তাজমহল।”

“সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট।”

“ফাঁকি তো বরাবর চলে না। দাম দিতেই হবে। নইলে বিধাতা সহ্য করেন না – দীর্ঘকাল ধরে প্রতিদিন সৌভাগ্যের ঋণ শোধ করতে হয়, তবেই স্বত্ব ধ্রুব হয়ে ওঠে।”

“আমার এই আমির মধ্যে যদি ব্যর্থতা থাকে তবে অন্য কোনো আমিত্ব লাভ করিয়া তাহা হইতে নিষ্কৃতি পাইব না।”

“ফাগুনের নবীন আনন্দে গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে; দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি, ভরি দিল বকুলের গন্ধে।”

“সাধারণত স্ত্রীজাতি কাঁচা আম, ঝাল লঙ্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে। যে দুর্ভাগ্য পুরুষ নিজের স্ত্রীর ভালোবাসা হইতে বঞ্চিত সে যে কুশ্রী অথবা নির্ধন তাহা নহে; সে নিতান্ত নিরীহ।”

“গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ।”

“নিন্দা করতে গেলে বাইরে থেকে করা যায়, কিন্তু বিচার করতে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *